Tuesday, December 31, 2013

হস্তমৈথুনের অপকারিতা পর্ব-০১

হস্তমৈথুন(Masturbation)
বা স্বমেহন
বর্তমানে একটি বড় সমস্যা।
ইসলামের দৃষ্টিতে
এটা হারাম এবং কবীরা গুনাহ।
শরীয়ত
অনুযায়ী যারা হস্তমৈথুন
করে তারা সীমালংগনকারী।
হস্তমৈথুনের কারণে দুই ধরনের
সমস্যা হয়---()মানসিক
সমস্যা।()শারীরিক সমস্যা।
আমি পর্ব-০১ এ শারীরিক
সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব।
পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান
যে্সব সমস্যায়
ভুগতে পারে তার
মধ্যে একটি হল
নপুংসকতা (Impotence)।[]
অর্থা ব্যক্তি যৌন সংগম
স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়।
পুরুষ হস্তমৈথুন
করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক
(Impotent)
হয়ে যায়।
আরেকটি সমস্যা হল অকাল
বীর্যপাত(Premature
Ejaculation)

অর্থা খুব অল্প
সময়ে বীর্যপাত ঘটে।
ফলে স্বামী তার
স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম
হয়।বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন
স্থায়ী হয় না।[]
আরো একটি সমস্যা হল

সুস্থ থাকার ১৫টি উপায়


স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। শরীর ঠিক তো সব ঠিক। একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন যে কারও প্রতিদিনের সব কাজে প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্য ঠিক নেই তো সবকিছু এলোমেলো। কিন্তু শরীর তো আর আপনাআপনি ভালো থাকবে না, নিয়মিত সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শরীরকে ক্লান্ত করে তুলতেই পারে। তাই দেহকে সুস্থ, সবল আর কর্মক্ষম রাখতে অবশ্যই মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখে এমন কিছু স্বাস্থ্য টিকা :
১.    প্রতিদিন আপনি ন্যূনতম ৬ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। কারণ ৬ ঘণ্টা ঘুমানো একজন সাধারণ মানুষের জন্য জরুরি।
২.    রাতে একটু আগে ঘুমাতে গেলেও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রথমে কষ্ট হলেও এটাকে ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত করুন।
৩.    প্রতিদিন কমপক্ষে আধাঘণ্টা শারীরিক ব্যায়াম করুন। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই ওয়ার্মআপ করে নিতে হবে।
৪.    বিশেষ কারণে প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চা সম্ভব না হলে প্রতিদিন বিকেলে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।
৫.    ইদানীং স্বাস্থ্যসচেতন অনেক নারী-পুরুষকে জিমে যেতে দেখা যায়। আপনি যেতে পারেন সামর্থ্যবান হলে। তবে জিমে যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রশিক্ষকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
৬.    চেষ্টা করুন সব ধরনের ফাস্টফুড ও তৈলাক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে। কারণ, এগুলো আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াবে।
৭.    শর্করাজাতীয় খাবার কখনো বেশি পরিমাণে খাবেন না।
৮.    সকালের খাবারের তালিকায় রাখুন রুটি এবং সবজি। তবে সঙ্গে ফল থাকলেও সমস্যা নেই।
৯.    শাকসবজি ও ফলমূল বেশি বেশি খাবেন। সপ্তাহে দুদিনের বেশি গোশত না খাওয়াটাই স্বাস্থ্যসম্মত।
১০.    অনেকে কোমল পানীয় পান করতে খুব পছন্দ করেন। এতে প্রচুর ফ্যাট থাকে। তাই কোমল পানীয় বেশি খাওয়া উচিত নয়।

মেয়েদের চরমপুলক


অধ্যাপক ডাঃ এএইচ মোহামমদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি

অনেক মহিলাই চরমপুলক পান না বলে অভিযোগ করেন। এর পেছনে কাজ করে কিছু মানসিক এবং দৈহিক কারণ। নিম্নের পরামর্শগুলো আপনাদের কাখিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে-
(ক) মানসিক পরামর্শ
১. দৈহিক মিলনের পূর্বে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।  প্রেম বা আদি রসের গল্প করুন প্রেম সঙ্গীত শুনুন অথবা ভিডিও দেখুন এসব কিছুই আপনাকে দৈহিক এবং মানসিকভাবে উত্তেজিত করবে। শুরুর এই উত্তেজনাই আপনাকে চরমপুলক লাভে সাহায্য করবে।
২. দুশ্চিন্তা দূর করুন। মানসিক দুশ্চিন্তা চরমপুলক পেতে বাধা দেয়। শান্ত হন, গান শুনুন, গরম পানিতে গোসল করুন, বই পড়ূন, অথবা পছন্দমত যে কোনো কাজ করুন যা আপনাকে দৈহিক মিলন সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা দূর করবে। দুশ্চিন্তাবিহীন দৈহিক মিলন আপনাকে দেবে চরমপুলক।
৩. দৈহিক মিলনের সময় মনোযোগ নষ্টকারী উপাদান দূর করুন। অনেক মহিলাই দৈহিক মিলনের সময় অন্য কিছু চিন্তা করেন। যেমন- কোনো কাজের কথা, কেউ দেখে ফেলছে কি-না ইত্যাদি ভেবে উৎকন্ঠিত হন। এমনকি উজ্জ্বল আলো, শব্দ, পোষা প্রাণীর উপস্থিতি ইত্যাদি যে কোনো কিছুই আপনার মনকে বিক্ষিপ্ত করতে পারে। এসব কিছুই দূর করুন। চরমপুলক অবশ্যই লাভ করবেন।
৪. রাগ দূর করুন। রাগ মানুষের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করে। আপনার পার্টনারের প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে দৈহিক মিলনে চরমপুলক পাবেন না। তাই দৈহিক মিলনের আগেই আপনার পার্টনারের সাথে হৃদয়ের মিলন ঘটান।

মাসিকঃযা একান্তই মেয়েদের



বিষয়টা আসলেই ভয় পাওয়ার মতো। কাকলির বয়স এখন কতোই বা হবে। ১২ কিংবা ১৩। এতোটুকুন বয়সে এরকম ঘটনায় কে না ভয় পায়? সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গিয়ে আঁতকে উঠলো কাকলি। রক্ত? চাকা চাকা রক্তে কমোড লাল হয়ে গেছে! রক্ত এলো কোত্থেকে? কোনো কিছু বুঝতে পারছে না সে। পরনের জামা কাপড়েও রক্ত লেগে আছে। কাল রাত থেকেই তলপেটটায় বেশ ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল, কেমন ভার ভারও লাগছিল। মামুলি ব্যথা মনে করে কাউকে বলা হয়নি। কিন্তু্তু এখন যে অবস্থা, তা তো আর না বলে থাকা যায় না। কোনো রকমে সবকিছু পরিষকার করে, পরনের কাপড় বদলে নিয়ে বাথরুম থেকে এক রকম কাঁপতে কাঁপতে বেরিয়ে এলো কাকলি। বিমর্ষ ভীত চেহারায় অস্ফুট গলায় মাকে ঘটনাটা খুলে বললো সে। কিন্তু এতে মায়ের চোখেমুখে তেমন কোনো উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা গেলো না। বরং ওকে জড়িয়ে ধরে আশ্বস্ত করার মতো করে পিঠে আলতো চাপড় দিয়ে বললেন-ও কিছু না, তুই বড়ো হয়েছিস না, বড়ো হলে সব মেয়েরই প্রতি মাসে এটি হয়, এ নিয়ে ভাবিস না।
মেয়েদের এই স্বাভাবিক বিষয়টির নাম মিসট্রয়েশন/সাধারণের কাছে যা মাসিক কিংবা ঋতুস্রাব বলে পরিচিত। প্রচলিত শহরে সাংকেতিক ভাষায় একে বলা হয় পিরিয়ড। বয়স ১০-এ পড়তে না পড়তেই মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন নামক সেক্স হরমোনের আগমন ঘটতে শুরু করে। এই হরমোন মেয়েদের বিশেষ শারীরিক পরিবর্তনের সচনা করে। সেই সঙ্গে অন্য মেয়েলি বিষয়গুলোও একে একে আবির্ভত হতে থাকে।

মানসিক স্বাস্থ্য এবং হরমোন


মন-মানসিকতায় হরমোন
মন-মানসিকতার ওপর রয়েছে হরমোনের জাদুকরি প্রভাব। হরমোনের কারণে ব্যক্তির মন-মেজাজের ওঠা-নামা হয়। মনের রোগ উৎপাদনে বিভিন্ন হরমোনের প্রভাব লক্ষ করা যায়। অপ্রত্যক্ষভাবে আচরণের অসঙ্গতি, মানসিক বিশৃঙ্খলা ও মনের বিকার সাধনে প্যারাথাইরয়েড, থাইমাস ও পিনেল গ্রন্থির অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্রিয়াও কিছু পরিমাণে দায়ী থাকে। পিটুইটারি গ্রন্থি মস্তিষ্কের নিম্ন অংশে একটি হাড়ের খাঁচার মধ্যে অবস্থিত। এ গ্রন্থির ২টি অংশ-
  • একটি হলো অগ্রভাগ এবং
  • অন্যটি হলো পশ্চাৎভাগ
যেসব গ্রন্থির ওপর ব্যক্তির সংগঠন প্রত্যক্ষভাবে নির্ভর করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
  • পিটুইটারি গ্রন্থি
  • অ্যাড্রিন্যালগ্রন্থি
  • থাইরয়েড গ্রন্থি এবং
  • গোনাডস গ্রন্থি
অ্যান্টিরিওর পিটুইটারি মনের বিকারের জন্য বেশি ক্রিয়াশীল। এই গ্রন্থির রস ক্ষরণের মাত্রা যদি বেশি হয় তাহলে দেহ দ্রুত বর্ধিত আকার ধারণ করে অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে থাকে। অন্যদিকে যদি এই গ্রন্থির রসক্ষরণ কমে যায় তবে বিপরীতভাবে দেহ বামনাকৃতি ধারণ করে থাকে। অন্যান্য গ্রন্থিরসের ক্ষরণকে পিটুইটারি হরমোন প্রভাবিত করে বলেই ব্যক্তির গঠন ও বিশৃঙ্খলা সাধনে এই গ্রন্থির ক্ষরণ এত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ACTH বা অ্যাড্রিনাল করটিকো ট্রাফিক হরমোন ক্ষরণ ব্যক্তির বিন্যাসে বাধা দেয়। এই রস বা হরমোন ক্ষরণের জন্যই দৈহিক ও মানসিক স্বাভাবিক বিন্যাস সম্ভবপর হয়। অন্যান্য গ্রন্থিরস ক্ষরণের ওপর পিটুইটারি এত প্রভাব বিস্তার করে যে এই গ্রন্থিকে সেই জন্য মাস্টার গ্ল্যান্ডবলা হয়। এক জোড়া অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড মানুষের কিডনির দুই পাশে অবস্থান করে। এরও দুই অংশ-